শিশুদেরনিরাপদইন্টারনেটব্যবহার
ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক সময় শিশুরা বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয় অথবা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। আপনার শিশু কোন ধরনের ওয়েবসাইট ব্যবহার করবে, আবার কোন ধরনের ক্ষতিকর ওয়েবসাইট থেকে দূরে থাকবে, তার সবই কিন্তু আপনি চাইলেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন খুব সহজেই। এ জন্য আপনাকে সালফেল্ড চাইল্ড কন্ট্রোল নামক সফটওয়্যারটির সাহায্য নিতে হবে। এটি আপনি একেবারে বিনা মূল্যে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন http://www.salfeld.com/software/parentalcontrol/index.html ঠিকানা থেকে। এর আকার ১৯.৫ মেগাবাইট। সফটওয়্যারের সাহায্যে আপনি নির্ধারণ করে দিতে পারবেন আপনার শিশু কোন ওয়েবসাইটগুলোতে ঢুকতে পারবে, আর কোনগুলোতে ঢুকতে পারবে না। এমনকি আপনি চাইলে কিছু নির্ধারিত শব্দও নির্বাচন করে দিতে পারবেন, যে শব্দগুলো থেকে আপনি আপনার শিশুকে দূরে রাখতে চান। তাহলে সেসব শব্দ সংবলিত ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারবে না আপনার শিশু। আবার কত দিন ঠিক কতটুকু সময় আপনার শিশু ইন্টারনেটে ব্যয় করতে পারবে, সেটিও নির্ধারণ করে দিতে পারবেন আপনি। এমনকি শিশু কোন ওয়েবসাইটে ঠিক কতক্ষণ সময় ব্যয় করেছে, সেটিও জানতে পারবেন আপনি। এই সফটওয়্যারের সাহায্যে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে বা অন্য কোনো সাইটে শিশু কতক্ষণ চ্যাট করতে পারবে, অন্য কারও সঙ্গে সেটিও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আবার আপনি বাসায় না থাকলে শিশু যেন মাত্রাতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারে, সেটিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন আপনি। এই সফটওয়্যারটি মোটামুটিভাবে সব ইন্টারনেট ব্রাউজারের সঙ্গেই সুন্দরভাবে কাজ করতে পারে।
কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যাবে নিজে থেকেই
স্বয়ক্রিয়ভাবে কম্পিউটার বন্ধ করতে পারেন খুব সহজেই। এজন্য প্রথমে কাঙ্ক্ষিত সময়টিকে সেকেন্ডে হিসাব করুন। এখানে যেমন ১৫ মিনিট মানে হলো ৯০০ সেকেন্ড। এবার কম্পিউটারের ডেস্কটপে গিয়ে ডান মাউস বাটন ক্লিক করে নিউ থেকে শর্টকাট খুলুন নতুন।
এবার নতুন উইন্ডোতে টেক্সট বক্সে SHUTDOWN-s-t 900 লিখুন। এর পরের সংখ্যাটি হলো, যত সেকেন্ড পর কম্পিউটার বন্ধ (শাটডাউন) করতে চান সেটা। এবার নেক্সটে চাপ দিয়ে, ফিনিশ করে বের হয়ে আসুন।
এখন ডেস্কটপে SHUTDOWN নামে একটি শর্টকাট ফাইল তৈরি হবে। এখন ওই শর্টকাটে ক্লিক করলেই ৯০০ সেকেন্ড অর্থাৎ ১৫ মিনিট পর শাটডাউন হয়ে যাবে আপনার কম্পিউটার।
আপনি চাইলে শর্টকাট তৈরির সময় SHUTDOWN-s-t 900 এ s-এর জায়গায় r লিখলেই যে শর্টকাটটি তৈরি হবে সেটি দিয়ে কম্পিউটার রিস্টার্ট করতে পারবেন নির্দিষ্ট সময় পর।
প্রযুক্তিনিয়েবাংলাব্লগ
তাশফিয়াদের স্কুল ব্যাচ পুনর্মিলনীর কিছু ভিডিও ইউটিউবে রেখেছে তার এক বন্ধু। ইউটিউবে ঢুকে ভিডিওগুলো দেখলেও সেগুলো তার ল্যাপটপে নামাতে পারছে না সে। কারণ, ডাউনলোড করা যাচ্ছে না। কী করবে ভেবে না পেয়ে গুগলে বাংলায় লিখে সার্চ করা শুরু করল সে। গুগলের অনুসন্ধানে বের হয়ে আসা কিছু ওয়েবসাইট থেকে টেকটিউনস সাইটের একটি পোস্টে সে ক্লিক করল। ল্যাপটপে কোনো ডাউনলোড সফটওয়্যার না থাকলেও টেকটিউনসের সেই পোস্টটি পড়ে মুহূর্তেই সে নিজে নিজেই করে ফেলল ভিডিও নামানোর কাজটা।
টেকটিউনসে লেখা পোস্টটি বাংলায় হওয়ায় তার বুঝতে কোনোই সমস্যা হলো না। ব্যবহারকারীরা এ রকম অনেক প্রযুক্তিগত সমস্যায় পড়ে প্রায়ই। এসবের সমাধানও আছে ইন্টারনেটে। তবে বাংলায় খুব সহজেই এসব সমস্যার সমাধান দিতে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে টেকটিউনসের মতো বাংলা কারিগরি ব্লগসাইটগুলো। শুধু সমস্যার সমাধান নয়, প্রযুক্তিকে সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন লেখা নিয়ে তৈরি এসব সাইট দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
২০০৮ সালে তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বাংলা ব্লগ টেকটিউনস (www.techtunes.com.bd) প্রকাশিত হয় ইন্টারনেটে। এতে কম্পিউটার, বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে লেখা যায়। এতে লেখার জন্য কম্পিউটারে কোনো ফন্ট নামানোর বা সেটিংসেরও প্রয়োজন হয় না। টেকটিউনসে যাঁরা লেখেন, তাঁদের বলা হয় টেকটিউনার আর টিউনারদের ব্লগগুলোকে বলা হয় টিউনস। অ্যালেক্সার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এটি দশম স্থানে রয়েছে। এ পর্যন্ত এতে নিবন্ধিত হয়েছেন ৫০ হাজারেরও বেশি সদস্য।
২০০৯ সালে চালু হয় বিজ্ঞান প্রযুক্তি নামে বাংলা ব্লগ http://www.bigganprojukti.com সাইটটি। বাংলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিচর্চাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতেই এটি প্রকাশ করা হয়েছে। সাইটটিতে নিবন্ধনের মাধ্যমে যে কেউ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক বিভিন্ন লেখা লিখতে পারবেন।
প্রযুক্তিবিষয়ক বর্তমান সময়ের আরেকটি জনপ্রিয় বাংলা ব্লগ হলো প্রিয় (tech.priyo.com)। সাইটটির বিশেষত্ব হচ্ছে, এখানে নিবন্ধন করে কেউ লেখা দিলেসহজেই তা প্রকাশিত হয় না। লেখার মান ও বিষয় অবশ্যই খুব ভালো হতে হয়।
শুধু তথ্যপ্রযুক্তি নয়, জীবপ্রযুক্তি, মহাকাশসহ বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা নিয়ে আরেকটি চমৎকার বাংলা ব্লগ বিজ্ঞানী ডট কম (www.biggani.com)।
এ ছাড়া প্রযুক্তিবিষয়ক অনলাইন পত্রিকা টেকজুম২৪-এ (www.techzoom24.com) তথ্যপ্রযুক্তির সর্বশেষ খবরাখবর এবং তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিভিন্ন লেখা পাওয়া যাবে।
আরেকটি বাংলা ব্লগ টিউনার পেজ http://www.tunerpage.com। গত বছর চালু হয়েছে এটি। নিবন্ধিত ব্লগারের সংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি।
কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের বিভিন্ন টিপস, বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের কৌশল, মুক্ত সফটওয়্যার ও বিভিন্ন পিসি টুলস এবং অ্যাপ্লিকেশন, তথ্যপ্রযুক্তি জগতের নিত্যনতুন খবরাখবর ইত্যাদি নিয়ে রয়েছে বাংলা ব্লগ পিসিহেল্পলাইনবিডি (www.pchelplinebd.com)।
স্বপ্নযাত্রা ব্লগে (www.sopnojatra.co.nr) পাওয়া যাবে কম্পিউটার ইন্টারনেট ও প্রযুক্তিবিষয়ক অনেক লেখা।
প্রযুক্তিবিষয়ক এ রকম আরও উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ব্লগসাইট হলো
http://www.techtweets.com.bd, http://www.techmasterblog.com, http://www.drooti.com
http://www.techkotha.com, http://www.techspate.com
http://www.tutorialbd.com/bn, http://www.comillait.com।
প্রায় প্রতিটি ব্লগে বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। তাই প্রযুক্তির যেকোনো বিষয়ে ব্লগ লিখতে পারবেন।
Filed under: কম্পিউটার Tips & Tricks | Tagged: Tips |
Leave a Reply