যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব ?

যদি আকিল,বালিগ,মুকীম(মুসাফির নয়) ব্যক্তি ১০ই যিলহজ্জ ফজর হতে ১২ই যিলহজ্জ সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ের মধে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয় তবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।
কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্য যাকাতের নিসাবের মত সম্পদের এক বছর অতিবাহিত হওয়া শর্ত নয়। বরং যে অবস্থায় সাদাকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয় ঐ অবস্থায় কুরবানী ও ওয়াজিব হবে।
মুসাফির ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়।
কোন মহিলা নিসাব পরিমাণ মালের মালিক হলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব।
কুরবানী ওয়াজিব নয় এমন ধরনের কোন গরীব ব্যক্তি কুরবানী করলে তা আদায় হয়ে যাবে এবং বহু সাওয়াবের অধিকারী হবে। এরূপ কোন গরীব ব্যক্তি কুরবানীর নিয়্যাতে পশু খরীদ করলে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যায়।
নিজের পক্ষ থেকে কুরবানী করা ওয়াজিব।সন্তানের পক্ষ থেকে পিতার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়। তবে পিতা যদি নিজের মাল হতে নাবালিগ সন্তানের পক্ষ হয়ে কুরবানী করে তাহলে তা নফল হিসেবে গণ্য হবে।
নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক ব্যক্তি উপর শুধুমাত্র একটি কুরবানী ওয়াজিব। একাধিক কুরবানী করা ওয়াজিব নয়। যদিও সে অধিক সম্পদের মালিক হোক না কেন। অবশ্য যদি কেউ একাধিক কুরবানী করে তাবে এতে সে অনেক সওয়াব লাভ করতে পারবে।
ঋণ করে কুরবানী করা ভাল নয়। যখন ব্যক্তির উপর কুরবানীই ওয়াজিব নয় তখন অন্যের থেকে ধার নিয়ে কুরবানী করার কোন প্রয়োজন নেই। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করবে। তার জন্য কুরবানী না করাই উত্তম। এরপরও যদি সে কুরবানী করে তাহলে সাওয়াব পাবে।
মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করা জায়িজ। আর এতে সে অধিক সাওয়াবে অধিকারী হবে। এমনিভাবে রাসূলুল্লাহ(সাঃ) এর পক্ষ থেকে কুরবানী করাও বিশেষ সাওয়াবের কাজ
কুরবানী ওয়াজিব হওয়া সত্ত্বেও তা যদি আদায় না করে থাকলে তাহলে তার মূল্য দান করা জরুরী
সূত্রঃ দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন পৃষ্ট নং ২৬২
দ্বীনের দাওয়াত (ইবাদাতের নিয়ম কানুন)মুহাম্মদ আযহারুল ইসলাম পৃষ্টা নং ২২